Monday, April 9, 2018

গণতন্ত্র: আমাদের ঈশ্বর

গণতন্ত্র: আমাদের ঈশ্বর
মুক্তিপ্রকাশ রায়

গণতন্ত্র জিনিসটা ভগবানের মতো। সবাই বিশ্বাস করে যে গণতন্ত্র আছে, অথচ কেউই তা চোখে দেখেনি। বিশ্বাস না করে উপায় কী? বিশ্বাসে মিলায় রাম/ আল্লা/যিশু, তর্কে ঢিশুম/চাপাতি/ ইনক‍্যুইজিশন। গণতন্ত্রেও অবিশ্বাসীদের জন্য বিভিন্ন দাওয়াই আছে।
     অনেকেই অবশ্য দাবি করে -- তারা নাকি গণতন্ত্র চর্মচক্ষে দেখেছে, যেমন অনেক মহাসাধক/সাধিকা ভগবানের দর্শনলাভ করেছেন বলে শোনা যায়। এসব দাবি মিথ্যে নয়। তবে দুটো ব‍্যাপারই পরিস্থিতি-নির্ভর। ভক্তের ভরাপেট অবস্থায়, দিনদুপুরে, বাজারের মাঝখানে যেমন ভগবান দেখা দেন না; গণতন্ত্রও সারাবছর সর্বত্র দেখা যাওয়ার কথা নয়।
     আপনি যদি তপস্যা করেন; অর্থাৎ খাওয়া-ঘুম ত‍্যাগ করে, গা-ছমছমে শ্মশান-টশানে বসে, দিনকয়েক ভগবানের নাম জপ করেন, খাদ‍্য-জল ইত‍্যাদির অভাবে শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়াম-ক‍্যালসিয়ামের অনুপাত ঘেঁটেঘুঁটে গিয়ে আপনি নানা অলৌকিকতা প্রত‍্যক্ষ করবেন এ-সম্ভাবনা বৈজ্ঞানিকেও মানতে বাধ্য। কোনও উপযুক্ত পরিবেশে, ধরা যাক কোনও জনহীন মিউজিয়ামে, ডাইনোসরের কঙ্কালের সামনে বসে একইভাবে ডাইনোসরের ধ‍্যান করলে তার দর্শনলাভও অসম্ভব নয়। গণতন্ত্রও সেইরকম। আপনার শহুরে অফিসের মিটিঙে, বা স্টাফরুমের মোড়ল-নির্বাচনে তার ঝলক দেখা গেছে বলে রাজনীতির সভয়ারণ‍্যেও যদি আপনি তার দর্শনপ্রত‍্যাশী হন, তাহলে আপনি আবালক।
     রাজনীতি কথাটাই রাজতন্ত্র-ঘেঁষা। এবং রাজতন্ত্র খুবই সৎ এক শাসনপদ্ধতি। এখানে কোনও লুকোছাপার ব‍্যাপার নেই। যার ক্ষমতা আছে, সে সবার ওপর ছড়ি ঘোরাবে, ব‍্যস। খুবই যুক্তিসঙ্গত দাবি। জঙ্গলেও এই নিয়মই চলে। সেখানে জোর যার, মুলুক তার। যে শাসিত হয়, তার কাছেও ছবিটা পরিষ্কার। কেউ হরিণকে এটা অন্তত বোঝায় না যে বাঘ-সিংহের পেটে যাওয়ার ব‍্যাপারটা সে নিজেই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে বেছে নিয়েছে। হরিণ জানে -- সে কী চায় তাতে কিস‍্যু যায় আসে না। সে দুর্বল। অতএব তাকে বাঘসিংহের দাদাগিরি সহ‍্য করেই বাঁচতে হবে। আমরাও সমাজে ক্ষমতাবানদের সামনে নতজানু হয়েই বাঁচি। তফাত এই যে আমরা বোকার মতো ভেবে নিয়েছি-- এটা আমাদের যৌথ সিদ্ধান্ত, কেন-না আমাদের ভোটার কার্ড আছে।
     রাজতন্ত্র আসলে ডোডোপাখি হয়ে যায়নি এখনও। গণতন্ত্রের ছদ্মবেশে সে এখনও আমাদের পুতুলনাচের অদৃশ্য বাজিকর। গণতন্ত্র ব‍্যাপারটাই আসলে রাজতন্ত্রের সামান্য বিকেন্দ্রীকরণ। আগে একজন রাজা দেশ শাসন করতেন। এখন সেই ক্ষমতা বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর ওপর বর্তেছে। তবে ওই গায়ের জোরের ব‍্যাপারটা রয়েই গেছে। জোরটা খাটানো হয় চয়েস-কে বাধা দিয়ে নয়; বরং সব চয়েসকে হবসনস চয়েসে পরিণত করে।
     আপনি জমিদারি ব‍্যবস্থার ওপর বিরক্ত; জমিদারি উচ্ছেদের পর গণতন্ত্রের জয়গান গাইতে গাইতে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে দেখলেন যে পাঁচজন প্রাক্তন জমিদারের মধ‍্য থেকেই একজনকে বাছতে আপনি বাধ‍্য। হয়ে গেল সমাজব‍্যবস্থা পরিবর্তন, কেমন? 'ফ্রিডম' নামের এক প্রবন্ধে জর্জ বার্নার্ড শ গণতন্ত্রের এই পরিহাস চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।
     লাল আর নীল জামার মধ্যেই যদি একটা বাছতে হয় আপনাকে, তাহলে আপনি  চাইলেও হলুদ জামা বাছার সুযোগ পাচ্ছেন না। তাহলে আপনার পছন্দের আর মূল্য কোথায়? ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় যে বোমা, গুলি ইত‍্যাদি চলে তা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা ইতিহাসের পরম্পরা। আপনার পছন্দকে প্রহসনে পরিণত করাই এর উদ্দেশ্য। যার ক্ষমতা আছে, সে অতীতে রাজতন্ত্রের লড়াইয়ে যেমন জিতেছে, আজ গণতন্ত্রের খেলাতেও সে জিতবে। ফাউল করে হলেও জিতবে। কাউকে নিজের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে না দিয়ে সে প্রমাণ করবে সে-ই সবার একমাত্র পছন্দ।
     তাই আমি শুরুতেই বলেছি আমার সংশয়ের কথা। গণতন্ত্র বলতে যা বোঝায়, তা সম্ভবত বাস্তবে নেই। ধনতন্ত্র আছে, কেন-না পয়সাওয়ালা লোকজন রাজনৈতিক দলগুলোকে স্পনসর করে; তাই যাবতীয় নীতি তাদের মুখ চেয়েই নির্ধারিত হয়। Gun-তন্ত্রও আছে। বন্দুকের নল আর ক্ষমতাদখলের কৌশল খুবই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তবে গণতন্ত্র সম্ভবত সংবিধানের দু-মলাটের বাইরে এখনও বেরোতে পারেনি।
     আর গণতন্ত্র বোধহয় খুব একটা যুক্তিসংগতও নয়। কেন সবার মতামতের দাম সমান হবে বলুন তো? অমর্ত্য সেন আর পাড়ার গোবরা মস্তান -- দুজনের বোধবুদ্ধি কি এক? অথচ গণতন্ত্রে দুজনেরই মতের সমান দাম; দুজনের একটা করেই ভোট! আমরা সব ব‍্যাপারে এক্সপার্ট ওপিনিয়নে বিশ্বাসী। কানের সমস‍্যায় কেউ চোখের ডাক্তারের মতামত জানতে চায়  না। তাহলে দেশ চালানোর মতো একটা সিরিয়াস ব‍্যাপারে সবাই মতামত দেবেই বা কেন?
     আবার নিজের মত-ও কি আসলে নিজের মত? কেমব্রিজ অ‍্যানালিটিকার ঘটনাটা শুনেছেন নিশ্চয়ই। এইধরনের সংস্থা ফেসবুক-জাতীয় সোশাল নেটওয়ার্ক থেকে আপনার মতামত-সংক্রান্ত তথ্য চুরি করে। তারপর কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের থেকে টাকা খেয়ে তাদের সপক্ষে এবং বিরোধীদের বিপক্ষে আপনার ওপর ভুলভাল তথ‍্যাক্রমণ শুরু করে। ফলত ভোটের দিন আপনার প্রোগ্রামড আঙুল ইভিএম-এ নির্দিষ্ট দলের বোতামের দিকে এগিয়ে যায়।
     ভিতর থেকে আপনার অগোচরে আপনাকে এইভাবে চালিত করে যে-শক্তি, তাকেই সম্প্রতি আমেরিকা চিনেছে 'ডোনাল্ড ট্রাম্প' নামে। ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে এই শক্তিরই নাম 'ঈশ্বর'।

আমার কাছে, বিশেষত ভোটের আগে, 'গণতন্ত্র'।

#মুক্তিপ্রকাশরায়

Saturday, April 7, 2018

মাটনবিলাসী ও অদ্বৈতবাদ

মাটনবিলাসী ও অদ্বৈতবাদ
মুক্তিপ্রকাশ রায়

বেশিরভাগ বাঙালির মতোই খাসির মাংস আমার খাস পসন্দ। বাঙালির আর দোষ কী! তার বর্ণপরিচয়ই শুরু হয় "অ-এ অজ" দিয়ে। পাঁঠাও অজ, আর হজমের পক্ষেও ভালো বটে, তবে চর্বি  কম থাকায় চর্বিতচর্বণ-জনিত সুখ ঠিক জমে না। আপনিও লক্ষ করে থাকবেন -- সুস্বাস্থ্যকে একটু হ‍্যাম্পার না করলে জিভকে ঠিকঠাক প‍্যাম্পার করা যায় না।
     বেশিরভাগ বাঙালির মতোই আমি এবং আমার পরিবারবর্গ খাসি বা পাঁঠার মাংসকে 'মাটন' নামে অভিহিত করে থাকি। আরামবাগের কোনওকোনও বিয়েবাড়িতে মেনুকার্ডে 'মর্টন'-এর উল্লেখও দেখেছি। আপনি যদি ইংরেজি নিয়ে খুঁতখুঁতে হন, তাহলে মাটনের সঙ্গে ছাগলকে ভেড়া-নোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারেন; তবে তাতে ছাগলের সঙ্গে গাড়লসম্প্রদায়ের মেষামেষির ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে পারবেন বলে 'পেত‍্যয়' হয় না।
     আরামবাগ এলাকায় আমরা মাঝেমধ্যে মাটনকে ফলের পর্যায়েও ফেলে থাকি। বিশেষ করে অনুষ্ঠানবাড়িতে পরিবেশক অনবরত জানতে চান -- মাটনের 'জুস' লাগবে কি না। এ কিন্তু 'সমোসকিতো' 'যূষ' নয়। ফ্রুটজুসেরই গোসতুতো ভাই। তবে সচেতনভাবে 'যূষ' বললে ব‍্যাপারটা মানহানির হয় না। আমি এইসব যুক্তি দিয়েই শহুরে আত্মীয়দের বাঁকা হাসি ট‍্যাকল করে থাকি।
     এসব ক্ষেত্রে সেরা থিয়োরি হচ্ছে অদ্বৈতবাদ। স্রষ্টা নিজেই সৃষ্টিতে পরিণত হয়েছেন। আসলে সেই পরম 'এক' ভিন্ন কিছু নেই। মাটির ঘোড়া, মাটির হাতি, মাটির পাখি দেখতে আলাদা হলেও, সবই আসলে সেই মাটি। তাহলে আর মাটনের জুস হতে আপত্তি কী? ছাগলকে একপ্রকার কমলালেবু ভাবলেই ল‍্যাঠা চুকে যায়।
     ছাগলই বলুন বা কমলালেবু,  সবই স্রষ্টার রূপভেদ। রূপের বিভিন্নতা আসলে মায়াবদ্ধ জীবের দৃষ্টিবিভ্রম। বিজেপি, বজরং দল, আরএসএস, বিশ্বহিন্দু পরিষদ -- ইত‍্যাদি সংগঠনের সদস্যরা যদি বেদান্ত পড়ত,  'রামছাগলে' ভগবান ও ব‍্যা-জুবান যে একীভূত হয়েছেন, তাতে তাদের আপত্তির কিছু থাকত না। নিজে শাকাহারী বলে বাঙালিকেও 'ঘাসফুস' খাওয়ানোর জন্য এতটা উঠেপড়ে লাগত না। 'খাসি' যে আসলে 'ঘাসই' সেটা বুঝে গেলেই তো ...

     বউকেও মাঝেমধ্যে ব‍্যাপারটা ভেবে দেখতে বলি আমি। একটু মুটিয়ে গেছি বলে সে আমার খ‍্যাঁটন থেকে মাটনকে বাদ দিতে চায়। আমি তাকে এই অদ্বৈতবাদে দীক্ষিত করার চেষ্টায় আছি। ভেবে দেখুন-না, ছাগল সারাজীবন খায় কী? ঘাসপাতাই তো? তাহলে তার গায়ে যে-মাংস আমরা দেখি, তা তো পরিবর্তিত ঘাস ছাড়া কিছুই নয়! খাসির মাংসকে মাংস দেখা এই মায়ার জগতের দৃষ্টিবিভ্রম নয় কি? আত্মজ্ঞানী এই ভুল কদাপি করবেন না।
     বউ এইসব আলোচনা শুনলে ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে থাকে। খুব একটা কনভিন্সড হচ্ছে বলে মনে হয় না। কী আর করা যাবে, মায়াবদ্ধ জীব! তবে বরফ একদিন গলবেই, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
     আজই কলেজ-ফেরতা একটু মাটন কিনে নিয়ে গেলে কেমন হয়? মাটন থাকতে চিকেনের মতো জোলো জিনিস খায় কেউ?

বিশেষত এই 'অজ' পাড়াগাঁয়ে?

০৭/০৪/২০১৮

#মুক্তিপ্রকাশরায়
#মাটনবিলাসী

Wednesday, April 4, 2018

ভোট এলে

ভোট এলে
মুক্তিপ্রকাশ রায়

ভোট আসে মাঝেমাঝে
আমাদের পাড়াতে
কেউ বাঁধে বোমা, কেউ
শান দেয় খাঁড়াতে
কেউ চায় ঝাড়পিট
কেউ তার বিরোধী
কেউ চায় -- যারা আছে
তারা থাক চিরদিন
টেনশনে রাত জাগে
সরকারি চাকুরে
ফেঁসে গিয়ে নিজ হাতে
এ-কবরটা খুঁড়ে
লাভ কী বা এই সাদা
কলারের মাঞ্জায়
ভোটে যদি ঘোঁট পাকে?
চোট লেগে প্রাণ যায়?
গণতান্ত্রিক দেশে
একনলা দোনলা
ভোট দেয়, ভোট নেয়
কোথাও বা কোনও লাশ
অপলক চোখে দ‍্যাখে
এ-পাড়া ও-পাড়াতে
সিসে হয়ে ঢুকে যায়
ভোট শিরদাঁড়াতে





Friday, March 30, 2018

হনুকরণ

হনুকরণ
মুক্তিপ্রকাশ রায়

আমিও হনুমান, তুমিও হনুমান
এ ডারুয়িন নয়, আমারও অনুমান
ক্ষমতা বড়ো দায়, যা কিনা পলিটিক্স
ধারালো ছুরি খোঁজে গলার নলিটি
এতে কি ভোট আসে? তবে তা বৈধ
দু-চারজন যদি হয় শহিদ হোক
যাক না ঘেঁটেঘুঁটে কলি-তে ত্রেতা-তে
কে তাতে বিচলিত? ব‍্যথিত কে তাতে?
তোমার পুঁজি ঘৃণা, আমি কি পিছিয়ে?
রেখেছি ভোটজাল সেভাবে বিছিয়ে
যেভাবে তুমি মাপো কে বেশি হিন্দু
তোমাকে বেচে খায় তোমারই নিন্দুক
দু-জনা দুটি দিক একই সে কয়েনেই
ভোট বা টস হোক, হারার ভয় নেই

Saturday, March 24, 2018

সাফাই

সাফাই
মুক্তিপ্রকাশ রায়

সবাই জানে -- হিন্দু ছাড়া আর সকলে রাক্ষস
সবাই জানে -- মুমিন ছাড়া অন‍্য সবাই কাফের
অস্ত্র তো নয়, ফুলঝাড়ু এ, দেশপ্রেমের সাক্ষ‍্য
রক্তেটক্তে ভেজাল থাকা ভীষণ পরিতাপের

রামনবমী আর মহরম পালনে হয় পুণ্য
একটু দাপট, উত্তেজনা, নইলে কীসের উৎসব?
অনার্য-মুশরিক-মালাউন হোক-না মনঃক্ষুণ্ণ
মাংসপেশি দূর করে দেয় ডেমোক্রেসির খুঁত সব


Wednesday, March 21, 2018

জলাঞ্জলি

জলাঞ্জলি
মুক্তিপ্রকাশ রায়

ভেলা জলে ভাসে, ফেরি যায়-আসে
বিজ্ঞান জানে -- প্লবতা
তবু নৌকায় ঠিক বোঝা যায়
জলের মহানুভবতা
জল ঘিরে থাকে জন্মেরও আগে
জল অভিমুখে শেষটান
জিভে, নদীচরে, গাছেরও শিকড়ে
একইরকমের তেষ্টা
তিনভাগ জলে মাটি ভেসে চলে
নীল চেনা এক গ্রহ তা
যেরকম প্রাণ চির-চলমান
কেউ কেউ বলে বহতা

Sunday, March 18, 2018

শুভাকাঙ্ক্ষী

শুভাকাঙ্ক্ষী
মুক্তিপ্রকাশ রায়

সব্বার ভালো হোক আমি চাই
সক্কলে খুব সুখে থাক
যে হতে চাইছে সে দুষ্টু হোক
অন‍্যরা গুড বুকে থাক
নিরামিষ খাক যে খুব নিরীহ
খুন চুষে খাক যে-খুনি
যুদ্ধবাজেরা খুশি হোক ফেলে
পরমাণু বোমা এখুনি
আমাদের মতো আমরাও খুশি
যুদ্ধবিরোধী মিছিলে
গিরগিটিকেও প্রশ্ন করি না
গতকাল তুমি কী ছিলে
তৃণমূল থাক, কংগ্রেসও থাক
বিজেপি এবং সিপিএম
জনতা চাইলে ভাতঘুম দিক
টুয়েলভ নুন টু থ্রি পি.এম.
সব মন যেন ফুরফুরে হয়
কেটে যায় দুশ্চিন্তা
স্টেটাস কুয়োর জলে ভাসমান
ইনকিলাবের দিন থাক