Friday, December 29, 2017

নতুন বছরের ছড়া: ২০১৮

নতুন বছরের ছড়া: ২০১৮
মুক্তিপ্রকাশ রায়

ভোর হোক, আলো হোক
চুলো হোক, চালও হোক
সাঁওতাল বেঁচে থাক
পাশে জিন্দালও হোক

সতেরোর ভুলগুলো
আঠারোয় ঠিক হোক
হাতে হাত ঠেকে গেলে
পুরোনো ম‍্যাজিক হোক

প্রেম হোক, ইয়ে হোক
চাকুরের ডিএ হোক
আইবুড়ো কবিদের
আঠারোয় বিয়ে হোক

মোড়ে মোড়ে চপও হোক
ঘরে ঘরে জবও হোক
যাদবপুরের মোড়ে
'হোক কলরব'ও হোক

ভয়টয় দূর হোক
যার শুধু পাউরুটি
       তার ঝোলাগুড় হোক
বিভেদ-কুকুর এলে
তেমনই মুগুর হোক

পৃথিবীর ভালো হোক
কম জঞ্জালও হোক
      ফেয়ার-অ্যান্ড লাভলি-কে
      না কিনুক পাবলিকে
কালো মানুষেরা মাথা
উঁচু করে কালো হোক

#মুক্তিপ্রকাশরায়


কবির মৃত‍্যু

কবির মৃত‍্যু
মুক্তিপ্রকাশ রায়

কেউ খালি পা-য়, কেউ তালি পায়
কেউ কাল-ই পায় বুঝি জ্ঞানপীঠ
মোছা কারও গদি, নয় স্ববিরোধী
মমতা বা মোদি কারও দেন পিঠ--
চাপড়িয়ে তাই বাড়ে ইয়েটাই
শুধু ডিএটাই নাকি লাট খায়
কেউ বিপ্লবী, কারও deep love-ই
তাঁকে cheap কবি হতে আটকায়
কেউ লোভী তাও, ছাপা ছবিটাও--
চায়, কবিতাও উপলক্ষ‍্য
পেলে এডিটার, তেল রেডি তার
পোষা টেডিটার মতো সখ‍্য
পাতা ঝরে যাক, শ্রোতা সরে যাক
পাশে মরে যাক কেউ স্টেজেতে
সে তো হেরো, ছাড়, তাকে করে বার
কারা হারে আর দেখি কে জেতে

#মুক্তিপ্রকাশরায়

Sunday, December 24, 2017

বড়দিন ২০১৭

বড়দিন ২০১৭
মুক্তিপ্রকাশ রায়

কিছু লেগে থাকে কাঁটার মুকুটে
কিছু লেগে থাকে পেরেকে
কেউ বলে, কিছু স্নো-ফলে রাখিস
ফাটা ঠোঁটে কিছু দে রেখে
রাজপথে কিছু শুকিয়েও যায়
কিছুটা শুকোয় বর্ডারে
ইতিহাস কিছু মুছেটুছে দেয়
রাজা বা রানির অর্ডারে
মোজার ভিতরে উপহার জমে
পূজাবেদীমূলে ভক্ত
যিশুর জন‍্যে কেঁদে ওঠে শিশু
বলে, ও মা! এ যে রক্ত!

#মুক্তিপ্রকাশরায়

Saturday, December 23, 2017

দুলাল বিশ্বাস: zরা হটকে

দুলাল বিশ্বাস: zরা হটকে
মুক্তিপ্রকাশ রায়

মাঝেমাঝে এক-একজনের অবয়ব ছেয়ে ফ‍্যালে গোটা একটা দিন। সেদিন তার কথাই ভেসে বেড়ায় নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে। দেবলের বাবার কথা আজ কিছুতেই মন থেকে সরানো যাচ্ছে না। আজ তাঁর শ্রাদ্ধ।
     দেবলের বাবা দুলাল বিশ্বাস। শেষদিকটায় ভুগছিলেন খুব। ডায়ালিসিস করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। তবে দেবলদের লড়াইটা হঠাৎ এইভাবে শেষ হয়ে যাবে, তা ভাবেনি কেউ। দুর্বল শরীরে নিজে সোফা থেকে উঠে দাঁড়াতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন কাকু। মাথায় আঘাত ... তাতেই।
     চিরকাল আমার অদ্ভুত মানুষ পছন্দ। যাঁরা "zরা হটকে"। সাধারণ লোকের জীবন, সমারসেট মম যেমন বলেছিলেন --- ট্রামগাড়ির চলন। বাঁধা পথের বাইরে গেলে তাদের নার্ভাস ডায়েরিয়া হয়। অদ্ভুত মানুষেরা এইজন‍্যই চোখে পড়ে। মনে থেকে যায়। আলাদা হয়ে উঠতে অসম্ভব মনের জোরও থাকতে হয় বোধহয়। কাকুর কথা মনে পড়ছে গাড়িতে যেতে যেতে। ব‍্যাবসায় রোজগার যেমন করেছেন, খরচও করেছেন হাত খুলে। খরচটা মূলত খাওয়াদাওয়ায়। গর্ব করে বলতেন, বুzলা মুক্তি, দুলাল বিশ্বাস যদি না খেয়ে টাকা zমাইত, তাইলে সোনার ইট দিয়া বাড়ি বানাইত।
     খুব একটা বাড়িয়ে বলা নয়। প্রথম যেদিন খবর না দিয়ে উটকো অতিথির মতো দেবলের সঙ্গে ওদের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলাম, সেদিন নিতান্ত 'সাধারণ রান্না' বলতে তিনরকম মাছ আর দেশি মুরগির মাংস! তখন হস্টেলের বুভুক্ষু আমরা। বনগাঁ লোকালের গণলাঞ্ছনার গ্লানি চিতলের কাছে নিতান্ত 'পেটি' হয়ে গেল‌।
     কাকু মছলন্দপুরের বাজারে এলে লোকজন আর ভালো মাছ কিনতে পেত না। কেউ হয়তো পাঁচশো টাকার মাছকে দরাদরি করে সাড়ে চারশোয় প্রায় ম‍্যানেজ করে এনেছে, এমন সময় মার্কেটে দুলাল বিশ্বাসের আবির্ভাব। আড়চোখে তাঁকে দেখতে পেয়েই মাছের ওপর গামছা চাপা দিয়ে সরিয়ে ফেলত মাছওয়ালা-- আপনি ছেড়ে দ‍্যান, এ-মাছ বিককিরি হয়ে গেছে।
সে জানে মাছ ভালো হলে দুলাল বিশ্বাস দরাদরি করে না। কাজেই ...
     মাছওয়ালা অবশ‍্য জানত -- দুলাল বিশ্বাস কঠিন জিনিস। বাজার করায় পিএইচডি। আলতুফালতু মাল তাঁকে গছানো অসম্ভব। মাছের পেট টিপে তার ইউএসজি করে ফেলার ক্ষমতা ছিল তাঁর। এছাড়া কোন ঋতুতে কোন মাছ খেতে নেই, বেগুনের টেস্ট কোন সময়ে বাড়ে, ফুলকপি হাইব্রিড কি না -- তা কী দেখে বোঝা সম্ভব, এ-সব 'গুরুত্বপূর্ণ' বিষয়ে দুলাল বিশ্বাসের মতামত খনা-র বচনের মতোই শিরোধার্য।
     একবার লিচু পাঠানো হবে দেবলের পিসিমার বাড়িতে। এক-আধকিলো নয়, এক রিকশ-ভ‍্যান ভরা লিচু। লিচু ছোটো বলে কাকুর না-পসন্দ্। এত ছোটো লিচু কি বোনের বাড়ি পাঠানো যায়? মান যাবে না? ছেলেমেয়েদের বললেন, এগুলো তোরাই খেয়ে ফ‍্যাল।
বাড়ির ছেলেমেয়ে, সঙ্গে কাজের লোকজন, এক রিকশ-ভ‍্যান লিচু সাবড়ে দিলে! পিসিমার বাড়ির জন‍্যে আবার 'বড়ো' লিচুর অর্ডার হল।
     দেবল বোধহয় ওর গোঁয়ার্তুমি কাকুর থেকেই বংশগতির অনিবার্যতায় পেয়েছিল। দেবলই প্রথম আমায় দেখিয়েছিল -- নিজের খারাপ-লাগা কারও মুখের ওপর বলে দেওয়া যায়। এই প্রসঙ্গে কাকুর একটা গল্প। একবার, সম্ভবত বনগাঁ লোকালেই, এক কমলালেবুওয়ালা কাকুর সঙ্গে তর্ক জুড়েছিল -- লেবু খেয়ে দেখুন, মিষ্টি না হলে জানলা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেবেন। তো, কাকু নিলেন একখানা লেবু, ধীরেসুস্থে খোসা ছাড়ালেন, মুখে দিলেন এককোয়া, তারপর বাকি লেবুটা ছুড়ে ফেলে দিলেন ট্রেনের জানলা দিয়ে।
     কেন জানি না, কাকু খুব ভালোবেসে ফেলেছিলেন আমাকে। যতবার মছলন্দপুরে গেছি, বা পরে কেষ্টপুরে, উনি আমাকে খাওয়াবেন বলে বাজার করতে ব‍্যস্ত হয়ে পড়তেন। আমার ঠাকুমা ছিলেন পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তু। বাঙাল-রক্ত আমার শরীরে যেটুকু আছে, তা সম্ভবত জিব আর পাকস্থলীতেই। ফলে বাঙাল রান্নার প্রতি আমার বিশেষ পক্ষপাত। আর কাকিমা, অর্থাৎ দেবলের মা, বাঙাল পদাবলির ভানুসিংহী। তাই দেবলের বাড়ি গেলেই আমার নোলা সকসক করত। মুক্তির জন‍্য 'কসুর লতি' জোগাড় না করতে পারলে কাকু ভাবতেন আতিথেয়তায় নিতান্ত ত্রুটি রয়ে গেল।
     একবার একটা পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় গাড়িতে উঠে পড়েছি; কাকু অন‍্যান‍্য অতিথিদের নিয়ে ব‍্যস্ত দেখে তাঁকে আর বিরক্ত না করে, কাকিমা আর দেবলের থেকে বিদায় নিয়ে এসেছি; হঠাৎ হন্তদন্ত হয়ে কাকু এসে হাত রাখলেন আমার জানলায় -- চলে যাচ্ছ? মুক্তি, তুমি আমায় একবার বলে গেলা না?
ভেজা গলায় কথাটা যেভাবে বললেন কাকু, তার তীব্রতার কোনও তুলনা হয় না। লজ্জায় আমি তখন প্রায় সিটের নীচে ঢুকে পড়তে চাইছি, নেহাত ভুঁড়ির জন‍্যে পেরে উঠছি না।
     কাকুর চলে যাওয়ার খবর হঠাৎ পেয়ে আমারও যে একটু অভিমান হয়নি তা নয়। কোমায় চলে গেছেন শুনে দেখতে গিয়েছিলুম। সে-দেখা দুঃস্বপ্নের মতো। কাকু চোখ মেলতে পারেননি।

একবার বলে গেলেন না, কাকু?

#মুক্তিপ্রকাশরায়

Tuesday, December 19, 2017

বিপথগামী

বিপথগামী
মুক্তিপ্রকাশ রায়

যারা খোঁজে তারা পায়, আমাদের হারানো স্বভাব
সংসার ডুবে গেলে, কবিতার মুঠিমাত্র লাভ
পথিক, তুমি কি পথ হারিয়েছ? ডেকে বলে কারা
আলেয়ার মতো শব্দ বিপথের দেখায় ইশারা
মহাকাল জানে, তাই আমরাও মেনেছি নীরবে
ব‍্যাধের তিরের ফলা একদিন মহাকাব‍্য হবে
হিসেবে চলতে বল, তবু রয়ে যায় ভুলচুক
এভাবেই কবিদের ঔদ্ধত‍্য বজায় থাকুক

#মুক্তিপ্রকাশরায়

Monday, December 18, 2017

নির্বাচন

নির্বাচন
মুক্তিপ্রকাশ রায়

যদি তুই হায়নাকে ভয় পাস
তবে তোর দিল মাঙে নেকড়ে
খুনিকে না দিলে প্রেমপত্র
ডাকাতের ঠিকানায় লেখ রে
তোর যদি মনেমনে ছিল এই
কেউটেকে দুধকলা না দিবি
গোখরোকুমার এলে, বল সই--
কোথা বসাইবি, কী বা রাঁধিবি?
পায়খানা যার লাগে ঘেন্না
সে নয় বিষ্ঠা মাখ দু-হাতে
বাঘ দেখে ভয় পেলে খুঁজে দেখ
আর কী জন্তু আছে গুহাতে
যে যার ইচ্ছেমতো বেছে নিক
এটা গণতান্ত্রিক অধিকার
বাছাবাছি শেষ হলে, বাছাধন!
কী লাভ প্রশ্ন তুলে -- গদি কার?

#মুক্তিপ্রকাশরায়

Wednesday, December 13, 2017

শীত ২০১৭

শীত ২০১৭
মুক্তিপ্রকাশ রায়

এখন বোধহয় শ্বাস নেওয়ারও অফ সিজন
বন্ধ নাকে নো এন্ট্রি টু অক্সিজেন
খাবারে নেই, ফুলবাগানেও খুশবু শেষ
সর্দি জমে হালত খারাপ ফুসফুসে
সেদিন এমন কপাল খারাপ, পিকনিকে
জ‍্যাকেটটাতে লাগিয়ে দিল শিকনি কে
সারাবছর চান করা যায় প্রাণ খুলে
এখন দ‍্যাখো, বালতি-ভরা ছাঙ্গু লেক
কাশির ঠেলায় ঘুম গেছে হায় যমপুরী
বউ বলে ব‍্যাং, শালির মতে ওম পুরী--
এমন গলার হাল, অপমান চূড়ান্ত
তাও যদি কেউ একটু নলেন গুড় আনত
সহ‍্য হত এমন বাঁকা কথার তোড়
শীতের জন‍্য মাসদেড়েকই যথার্থ
মেঘের পাশে রুপোর রেখা বুকফেয়ার
নইলে কজন এই জ্বালাতন ভুগবে আর?

#মুক্তিপ্রকাশরায়

Monday, December 11, 2017

ট্রেনে যেতে যেতে

ট্রেনে যেতে যেতে
মুক্তিপ্রকাশ রায়

দিয়াড়া ছেড়ে গেল, এল নসিবপুর
কপালে ছিল বলে তুমি গিয়েছ দূর
দূর কী দুর্বহ কিছুটা পাই টের
দামও যে বেড়ে চলে নিপ বা পাঁইটের
কী করে বিরহকে ডুবিয়ে করি খুন
বন্ধু বলে, দিল যো চাহে উও লিখুন
তাই আপনমনে দেওয়ালে ঘুঁটে দিই
পুরোনো পাপীদের ঘা-গুলো খুঁটে দিই
একে কি ছড়া বলে? কে জানে, যো ভি হো
পেরেমে ল‍্যাং খেয়ে বাঙালি কবি হোক

#মুক্তিপ্রকাশরায়

Sunday, December 10, 2017

বৃষ্টিদিনের কাপলেট

বৃষ্টিদিনের কাপলেট
মুক্তিপ্রকাশ রায়

মাথার ওপর মেঘ জমেছে ক‍্যান্ডি ফ্লস
কাজ-পালানোর নাম রেখেছি ধ‍্যান-দিবস

#মুক্তিপ্রকাশরায়

অপবাদ

অপবাদ
মুক্তিপ্রকাশ রায়

কী করে জানবে কৃষ্ণচূড়াটি একদিন অণুগল্পের
মতো পথচলা শেষ হয়ে যাবে, আসবে না চেনা কল ফের
কথা রয়ে যায় সান্ধ‍্য হাওয়ায়, কিছু বা মেলার ধুলোতে
কবিতার খাতা ছুঁয়ে দেখলি না, কত জন্মের ঝুল ওতে
সম্মুখে গিরি দুর্গম, আর পারাবার অতি দুস্তর
বোকা ছেলেটার আজও দায়ভার কাঁটার মুকুট, ক্রুশ তোর
দিন আনি আর দিন খাই শুধু, মাধুকরী,  সরকারি না
তুই ফিরে এলে আমি কি এখনও প‍্যাশনেট চুমু পারি না?



#মুক্তিপ্রকাশরায়

বহুরূপীর জন‍্য কাপলেট

কেউ জানে না, কেউ বোঝে না, কখন কী যে রূপ ধর
তুমিই আমার বৈধ জানম, তুমিই আমার গুপ্তরোগ

#মুক্তিপ্রকাশরায়

Friday, December 8, 2017

রুচিবদল

রুচিবদল
মুক্তিপ্রকাশ রায়

কেউ বোঝে না অর্থনীতি ডিজিটালিন্ডিয়ায়
বোঝেন শুধু অরুণবাবু জেটলি
স্বপ্নে দেখি আগুন জ্বেলে বসিয়ে কারা দিচ্ছে
গরম চায়ের ব‍্যক্তিগত কেটলি
রাজস্থানের ছাই মিশে যায় ধুলাগড়ের ধুলোয়
আল্লা নীরব, নীরব রঘুনন্দন
স্বচ্ছ ভারত, স্বচ্ছ ভারত, সাফ করে দাও আরও
গায়ের থেকে মানুষ-মানুষ গন্ধ
আমরা বোড়ে, বুঝব কী আর উন্নয়নের মানে
বুঝুক যারা খেলতে পারে দাবা
দেশের জন‍্য বিফ ছেড়ে আজ ধরব কি না ভাবছি
মানুষ-পোড়া -- পলিটিক‍্যাল কাবাব

#মুক্তিপ্রকাশরায়

Tuesday, December 5, 2017

আত্মরক্ষা

আত্মরক্ষা
মুক্তিপ্রকাশ রায়

দোষীর বিচারে যাব, সাজাও আমাকে
বিবেকের মতো, যেন সাক্ষাৎ শমন
অপরাধী দুঃস্বপ্নে ভাই বলে ডাকে
                                 
খড়্গাঘাতে লেখা হবে সন্দেহাতীত অস্বীকার

ভয় হয়, তাই এই ভয় দেখাবার আয়োজন
নিজেকে রশিতে বাঁধি সভ‍্যতার দৃঢ় মাস্তুলে
সে তত নিষ্পাপ যার হাতে যত নিষ্ঠুর বিচার
গলানো মোমের মতো কর্ণকুহরে ঢালি
জনতার অবোধ গর্জন

প্রিয় , আর দেরি নয়, তর্জনী উঠেছে দিকেদিকে
আমার দায়ের নীচে রাখো তুমি ছাগশিশুটিকে